Welcome to NIC HOME DECOR
GET FREE DELIVERY - ORDER NOW
পৃথিবীর মূল্যবান ধাতব মূদ্রা - একটি মূদ্রার মূল্য ২২৫ কোটি টাকা !

পৃথিবীর মূল্যবান ধাতব মূদ্রা – একটি মূদ্রার মূল্য ২২৫ কোটি টাকা !

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! পৃথিবীর মূল্যবান মূদ্রা তালিকায় এমন সব মূদ্রা রয়েছে যার মূল্য শত কোটি টাকারও বেশি। মুদ্রাগুলো এত বেশি মূল্যবান হওয়ার কারণ মূলত ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বিরলতা, এবং সংগ্রাহক মূল্য। এগুলোর “অন্তর্নিহিত মূল্য” (যেমন ধাতব মূল্যের ওপর ভিত্তি করে) সাধারণত এতো বেশি নয়। তবে এর বাজারমূল্য শুধুমাত্র ধাতু দিয়ে নির্ধারণ হয় না; ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, এবং মনস্তাত্ত্বিক মূল্য বড় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে এগুলোর “বাস্তব মূল্য” সংগ্রাহকদের দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক বেশি। নিম্নে পৃথিবীর সবচেয়ে মূলবান এবং বিরল পাঁচটি মূদ্রার তালিকা রয়েছে: ১. ডবল ঈগল (Double Eagle 1933) ২. ফ্লোইং হেয়ার ডলার (Flowing Hair Dollar 1794) ৩. ব্রাশার ডাবলুন (Brasher Doubloon 1787) ৪. হাফ ঈগল (Half Eagle 1822) ৫. ১৮০৪ ডলার (1804 Dollar) বলা হয় শখের তোলা আশি টাকা তবে এই শখতো লাখ ছাড়িয়ে কোটিকে টপকিয়ে শত কোটিতে চলে গেছে। তবে মুদ্রা সংগ্রহ শুধু একটি শখ নয়; এটি ইতিহাস, শিল্প এবং সংস্কৃতির সাথে একটি ঘনিষ্ঠ সংযোগ স্থাপন করে। একজন মুদ্রা সংগ্রহকারীর জন্য প্রতিটি মুদ্রা একটি ইতিহাসের অংশ যা সময় ও স্থানের গল্প এবং সেসময়কার ক্ষমতাশীল নেতৃত্বাধীনদের ( রাজা-বাদশা কিংবা সরকার ) পরিচয় বহন করে। বিঃ দ্রঃ ভিন্ন সংগ্রহ কিংবা তালিকা অনুযায়ী মুদ্রার মূল্য এবং শ্রেণীর তারতম্য হতে পারে ~ আমাদের তৈরি তালিকাটি উইকিপিডিয়ার সবচেয়ে দামি কয়েনের তালিকার প্রেক্ষিতে করা হয়েছে।

Nic Home Decor Blog Cover

বাংলাদেশের কারুশিল্প ও লোকশিল্প – ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বাহক

বাংলাদেশের কারুশিল্প ও লোকশিল্পের মধ্যে লুকায়িত এদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং শিল্পিদের নৈপুণ্য কর্ম দক্ষতার পরিচয়। এই শিল্পশৈলীর মাধ্যমে বাঙালিদের জীবনধারা, বিশ্বাস, ও অনুভূতি প্রকাশিত হয় যা বাঙ্গালির সংস্কৃতি এবং শত বছরের ঐহিত্যের ধারা বহন করে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বংশানুক্রমিকভাবে এবং বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শিল্পকলাগুলি শুধুমাত্র অতীতের স্মৃতিচিহ্ন নয়, বরং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত লোকশিল্প ও কারুশিল্প – ১. বাংলার বুনন শিল্পবাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্প, যেমন তাঁত শিল্প, দেশের সুপ্রসিদ্ধ কারুশিল্পের অন্যতম। জামদানি, লুকন, বাটিক, সিল্ক ইত্যাদি বুননের মাধুর্য পৃথিবীজুড়ে প্রশংসিত। জামদানি শাড়ি, বিশেষ করে, তার অনুপম নকশা ও সূক্ষ্মতায় পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হয়। একটি শাড়ির সুতোয় জড়ানো থাকে শতাব্দীর পুরনো শিল্পীসত্তার অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, যা আজও নতুন প্রজন্মের মনোযোগ আকর্ষণ করে। ২. মৃৎশিল্পমৃৎশিল্প, বিশেষ করে বাংলাদেশের মাটির পুতুল, হাড়ি, হাঁড়ি, এবং পোড়ামাটির নানা অলংকরণ, বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্পকলার অংশ। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা বিশেষভাবে পরিচিত তাদের দৃষ্টিনন্দন মাটির কাজের জন্য। এই শিল্পগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সজীব রেখেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূলধারা। ৩. কাঠের শিল্পবাংলাদেশের কাঠের শিল্পের অনন্যতা, যেমন কাঠ খোদাই করা মন্দিরের নকশা, মেঝের কাজ, এবং আসবাবপত্রের কারুকাজ, প্রাচীন কালের স্মৃতিচিহ্ন বহন করে। সোনারগাঁওয়ের কাঠশিল্পীরা তাদের চমৎকার সূক্ষ্ম কাজের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রতিটি কাঠের খোদাই যেন একটি আলাদা গল্প বলে, যা দেখে শিল্পপ্রেমীরা অবাক হন। ৪. রঙিন হস্তশিল্পবাংলাদেশের হস্তশিল্পের একটি বড় অংশ হল রঙিন হস্তশিল্প। পাট, তুলা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি হাতের কাজের বিভিন্ন ধরনের থালা, কাপড়, ব্যাগ, এবং গয়না, বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, এসব কাজের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক একটি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, উৎসবের আনন্দ, ও ঐতিহ্যের রঙিন অধ্যায়। ৫. সোনালী খোকা ও মাটির পুতুলসোনালী খোকা, বিশেষ করে, বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলনা শিল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। মাটির পুতুল, খেলনা, ও বিভিন্ন ধরনের সোনালী খোকা শিশুদের আনন্দ দেয়, পাশাপাশি তাদের সৃজনশীলতাকে উন্নীত করে। এই খেলনাগুলো হয়তো আজও আধুনিক প্রযুক্তির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের স্মৃতি, তাদের সহজ সৌন্দর্য, আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। ৬. পটচিত্রপটচিত্র বাংলাদেশের প্রাচীন চিত্রকলার একটি ধারা। এটি কাপড় বা কাগজে আঁকা হয়, যেখানে সাধারণত গ্রামীণ জীবন, ধর্মীয় উপাখ্যান, বা সামাজিক গল্পের চিত্রায়ণ থাকে। এই শিল্পকে গান গেয়ে বা গল্প বলে প্রদর্শন করা হয়, যা “পট গান” নামে পরিচিত। ৭. নকশিকাঁথানকশিকাঁথা বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত কারুশিল্প। এটি পুরানো কাপড়ের টুকরো দিয়ে হাতে সেলাই করে তৈরি হয় এবং বিভিন্ন নকশা বা প্যাটার্ন দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়। নকশিকাঁথার নকশায় ফুল, পাখি, বা গ্রামীণ জীবনের চিত্র ফুটে ওঠে। ৮. বাঁশ ও বেতের কাজ বাংলাদেশে বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ব্যবহারিক ও অলংকারিক সামগ্রী একটি প্রচলিত কারুশিল্প। ঝুড়ি, খাট, চেয়ার, ও মাদুর তৈরিতে এই শিল্প ব্যবহৃত হয়।বাংলার এ-ই বিশাল সমৃদ্ধ শিল্প ভান্ডারে আরো রয়েছে শীতলপাটি, শখের হাঁড়ি, কাঠের তৈরি হাতি ঘোড়া পুতুল, মুখোশ শিল্প, শোলাশিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প, নকশি শিকা, শতরঞ্জি, টেপা পুতুল, দারুশিল্প, তামা-কাঁসা-পিতল, সরাচিত্র ইত্যাদি মূল্যবান শিল্পকর্ম। বাংলার এ-ই বিশাল সমৃদ্ধ শিল্প ভান্ডারে আরো রয়েছে শীতলপাটি, শখের হাঁড়ি, কাঠের তৈরি হাতি ঘোড়া পুতুল, মুখোশ শিল্প, শোলাশিল্প, নকশি শিকা, শতরঞ্জি, টেপা পুতুল, দারুশিল্প, তামা-কাঁসা-পিতল, সরাচিত্র ইত্যাদি মূল্যবান শিল্পকর্ম। বাংলাদেশের কারুশিল্প ও লোকশিল্পের এই সমস্ত উদাহরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রাচীন ঐতিহ্য শুধু আমাদের অতীতের ইতিহাস নয়, বরং তা বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংস্কৃতিরও অংশ। এই শিল্পগুলো সজীব রাখে আমাদের ঐতিহ্য, জানিয়ে দেয় আমাদের মূলধারা, এবং এই পৃথিবীর কাছে আমাদের পরিচয় গড়ে তোলে।